প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ২৩, ২০২৫, ৯:২৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২২, ২০২৫, ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ
শহর থেকে গ্রামে অনলাইন জুয়ার ফাঁদে তরুণ-তরুণীরা

অবেলার ডাক।। অনলাইন জুয়ার আসর কে কেন্দ্র করে কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হচ্ছে ঝিনাইদহে। অবৈধ ও বিটিআরসি অননুমোদিত অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে চলছে রমরমা জুয়ার বাণিজ্য। সকাল দুপুর কিংবা মধ্যরাতে মোবাইল ফোনে চলছে জুয়ার এসব আসর। দেখে বোঝার কোন উপায় নেই হাতে থাকা মোবাইল ফোনেই চলছে এসব জুয়ার আসর। ফলে অপরাধ জগতে পা বাড়াচ্ছে তরুণ-যুবকরা। হাতে থাকা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের অ্যাপের মাধ্যমেই চলছে অবৈধ পথে অবৈধ অর্থ লেনদেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, অবৈধ এসব জুয়ার অ্যাপের মাধ্যমে জেলা থেকে প্রতিমাসে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। চাঞ্চল্যকর অনলাইন জুয়ার আসর এখন শহর ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও। ফলে এ নিয়ে সচেতন মহল ও অভিভাবকদের মধ্যে বেড়েছে শঙ্কা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের জন্য অনুমোদিত অ্যাপ্লিকেশন পেতে গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপল স্টোর একমাত্র উৎস। কিন্তু অবৈধ ও বিটিআরসির অননুমোদিত অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে রমরমা অনলাইন জুয়ার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এসব ক্ষতিকর অ্যাপ ব্যবহার করতে মোবাইল ফোনে বেড়েছে ভিপিএন সফটওয়্যারের ব্যবহার। এর আগে বিভিন্ন সময়ে প্রতারক চক্রটির কয়েকজন সদস্য গ্রেফতার হলেও জামিনে বেরিয়ে তারা আবারও পুরোনো অপরাধ জগতে ফিরেছে। দাপটের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছে এসব ভার্চুয়াল প্রতারণা।
ইন্টারনেট ব্রাউজার থেকে সার্চ করে ক্ষতিকর অনলাইন জুয়ার অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা জুয়ায় ঢালছেন তরুণ-যুবকরা। অনেকেই মোটা টাকা খুইয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। কেউ কেউ দেনার দায়ে হতাশাগ্রস্ত জীবন পার করছেন।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, অনলাইন এসব জুয়ার পেছনে তদারকির জন্য রয়েছে স্থানীয় একাধিক এজেন্ট, যারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জুয়ার গ্রাহকদের কথিত আইডি তৈরি করে দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। একজন গ্রাহক নিজের আইডি চালু করার পর অন্য কাউকে আইডি চালু করাতে পারলে পাচ্ছেন বাড়তি বোনাস। এসব কথিত বোনাস ও রাতারাতি বড়লোক হওয়ার ভুয়া স্বপ্নে প্রতারকদের ফাঁদে পা দিচ্ছেন উঠতি তরুণ, যুবকসহ নানা বয়সের মানুষ। পেশাজীবী, শ্রমজীবী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকেই এসব জুয়ায় মেতেছেন।
অনলাইন জুয়ায় আসক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণ জানান, তিনি তিন মাস ধরে একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অনলাইনে জুয়া খেলছেন। জুয়ার মাধ্যমে অর্জিত টাকা কোনো ব্যাংক বা সরকার অনুমোদিত আর্থিক মাধ্যম থেকে উত্তোলন করতে পারেননি। কথিত উপার্জিত সব টাকা তিনি নির্ধারিত এজেন্টের মাধ্যমেই উত্তোলন করেছেন। অনেক সময় এজেন্টরা গ্রাহকদের সঙ্গে এ নিয়ে প্রতারণাও করে থাকেন। দ্রুত এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে অনলাইনের এসব জুয়ার ফাদে পড়তে পারে সাধারণ মানুষ।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ রিসালাত মীরবহর, www.obalardak.com, E-mail: obalardak@gmail.com, Contact: 01516332727
Copyright © 2025 | অবেলার ডাক