বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক পুষ্টিবিদ থেকে মেধাভিত্তিক রাজনীতিতে ডা. জিয়া হায়দারের পথচলা

এস.এম রেজাউল করিম।। রাজনীতির মাঠে ফিরেছেন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ড. এসএম জিয়াউদ্দিন হায়দার স্বপন। তিনি মূলত রাজনীতিরই মানুষ ছিলেন, একজন নেতা ও কর্মী। তবে মাঝখানে একটি উল্লেখযোগ্য সময় পর্যন্ত পেশাগত জীবনে কর্মব্যস্ত থেকেছেন। এ সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছেন। দেশকে তার অনেক কিছু দেওয়ার আছে।

বর্তমানে তিনি একজন পুরোদস্তুর রাজনীতির কর্মী হিসেবে মাঠে নেমেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এটি একটি আশা জাগানিয়া সুখবর। আপনাকে নিয়ে এলাকার মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। কারণ, বাংলাদেশের দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির অঙ্গণে জিয়া হায়দারের মতো মানুষকে আমাদের বেশি প্রয়োজন, বেশি সংখ্যক প্রয়োজন। তাদের সক্রিয় উপস্থিতি দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতিকে সঠিক ধারায় ফিরিয়ে আনবে। তারা রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারলে দুর্বৃত্তরা হারিয়ে যাবে, মেধাভিত্তিক রাজনীতির বিকাশ ঘটবে। রাজনীতি প্রকৃত রাজনীতিবিদ ও মেধাবীদের হাতে থাকবে।

জিয়া হায়দারের মতো ব্যক্তিকে নিয়ে এ ধরনের আশাবাদ প্রকাশ করা যায়। কারণ তিনি একটি মেধাসম্পন্ন ও রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। নিজে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির একজন আদর্শ সৈনিক। ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী ধারার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এবং শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। তার ভাই-বোনেরা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ও মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।

একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে টেকসই স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও টেকসই উন্নয়নে জিয়া হায়দার কাজ করেছেন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি কমিশনের সঙ্গেও কাজ করেছেন। এরপর বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবে অবসর গ্রহণ করে রাজনীতিতে সক্রিয় হন।

জিয়া হায়দারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা তিনি অবহেলিত ঝালকাঠির দিকে দৃষ্টি দেবেন। বিগত সময়ে এই এলাকায় তেমন উন্নয়ন হয়নি, ব্যক্তিপূজা ও ব্যক্তিস্বার্থে অপরিকল্পিত কিছু কাজ হয়েছে। দক্ষিণ বাংলার এই জনপদ অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। কিন্তু আমাদের এই এলাকা নিয়ে ভাবার মতো উপযুক্ত লোক নেই। এই এলাকাটি সত্যিই অবহেলিত, যদিও অপার সম্ভাবনাময়। পদ্মা সেতু হওয়ার পর এর সম্ভাবনা আরও বেড়েছে, সেই সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে একজন মেধাবী রাজনীতিবিদ হিসেকে আপনার পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। ঝালকাঠির সার্বিক উন্নয়ন করতে আপনি পারবেন। অবকাঠামাে, অর্থনীতি, বেকারত্ব, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করা হলে এই জেলাটি একটি আদর্শ জেলায় পরিণত হবে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

সমাজকর্মী, নলছিটি।

  • Related Posts

    নলছিটির ভাঙন কবলিত এলাকায় ইউএনও ও পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিনিধি দলের পরিদর্শন

    বালী তাইফুর রহমান তূর্য, নলছিটি প্রতিনিধি।। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ও মোল্লারহাট ইউনিয়নের সীমানা ঘেষা হদুয়া লঞ্চ ঘাট, ইসলামাবাদ সহ ভাঙন কবলিত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা…

    নলছিটিতে জোর পূর্বক গাছের তাল কেটে নেওয়ার অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিনিধি।। ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় দূর্বিত্ত কর্তৃক গাছের তাল কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৮ মে ২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক বেলা ২ টার সময় নলছিটি উপজেলার মগর ইউনিয়নের মগর…

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *