অবেলার ডাক।। প্রজাপতি একটি ক্ষুদ্র পতঙ্গ হলেও প্রকৃতির সবচেয়ে রঙিন ও মোহনীয় সৌন্দর্যের প্রতীক। এর ডানায় যেন আঁকা থাকে শিল্পীর ক্যানভাস, কবির কল্পনা আর প্রকৃতিপ্রেমীর ভালোবাসা। বাতাসে ভেসে বেড়ানো প্রজাপতির নৃত্য যেন প্রকৃতির উচ্ছ্বাসময় প্রকাশ।
প্রজাপতির জন্ম হয় ডিম থেকে, এরপর শুঁয়োপোকা, পিউপা হয়ে রূপ নেয় পূর্ণাঙ্গ প্রজাপতিতে। এই চারধাপের জীবনচক্রে প্রতিটি ধাপ গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিবেশের উপর নির্ভরশীল। প্রজাপতির ডানা তৈরি হয় ‘চিটিন’ নামক এক ধরনের প্রোটিন দিয়ে, যার উপর সূর্যের আলো পড়লে সৃষ্টি হয় চোখধাঁধানো রঙের প্রতিফলন। বিশ্বজুড়ে ১৫-২০ হাজার প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে, আর বাংলাদেশে প্রায় ৪০০টি প্রজাতি চিহ্নিত হয়েছে। এদের মধ্যে মনমেঘা, নীল পুনম, রাই নকশি, বনবেদে প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। তারা সাধারণত ফুলের মধু খায়, পাশাপাশি কিছু প্রজাতি পচা ফল, গাছের রস ও খনিজ পদার্থও গ্রহণ করে। প্রতিদিন ঘণ্টায় ১২-১৫ মাইল বেগে উড়ে বেড়ায় তারা, আর আয়ু হয় গড়ে ২ থেকে ৪ সপ্তাহ। প্রজাপতির উপস্থিতি শুধু সৌন্দর্য নয়, বরং পরিবেশের ভারসাম্যের নির্দেশক। তারা গাছের পরাগায়নে সাহায্য করে, যা উদ্ভিদের বংশবিস্তারে সহায়ক। কিন্তু বন ধ্বংস, কীটনাশক ব্যবহার এবং নগরায়নের কারণে প্রজাপতির আবাস হারিয়ে যাচ্ছে। তাদের সংরক্ষণে আমাদের গাছ লাগাতে হবে, বনাঞ্চল রক্ষা করতে হবে এবং গণসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। কারণ, প্রজাপতির অস্তিত্ব মানেই এক প্রাণবন্ত প্রকৃতি। আর প্রকৃতি বাঁচলে আমরাও বাঁচি।
লেখক: জুবাইর আল হাদী।
শিক্ষার্থী: ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদ্রাসা।
বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক পুষ্টিবিদ থেকে মেধাভিত্তিক রাজনীতিতে ডা. জিয়া হায়দারের পথচলা
এস.এম রেজাউল করিম।। রাজনীতির মাঠে ফিরেছেন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ড. এসএম জিয়াউদ্দিন হায়দার স্বপন। তিনি মূলত রাজনীতিরই মানুষ ছিলেন, একজন নেতা ও কর্মী। তবে মাঝখানে একটি উল্লেখযোগ্য সময় পর্যন্ত…